Recent News

আফগানিস্তান: কাবুলে সরকার নিয়ে পাকিস্তানের তৎপরতা, কি চায় ইসলামাবাদ?

কাবুলে নতুন একটি সরকার গঠন নিয়ে তালেবান নেতৃত্ব এবং তালেবান বিরোধী আফগান রাজনীতিকদের পাশাপাশি তৃতীয় যে পক্ষটি তৎপর সেটি হলো পাকিস্তান।

কাবুলে ভবিষ্যৎ সরকারে তালেবানের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দেন-দরবার করতে গত পাঁচদিন ধরে ইসলামাবাদে অবস্থান করছেন অধুনালুপ্ত তালেবান বিরোধী জোট নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের শীর্ষ সাতজন আফগান রাজনীতিক।

তাদের মধ্যে রয়েছেন নব্বইয়ের দশকের তালেবান বিরোধী সামরিক জোটের কিংবদন্তির জাতিগত তাজিক নেতা আহমেদ শাহ মাসুদের দুই ভাই, যাদের একজন – আহমেদ জিয়া মাসুদ – হামিদ কারজাই সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। রয়েছেন অত্যন্ত সুপরিচিত আফগান হাজারা নেতা – করিম খালিলি এবং সাবেক যে আফগান প্রেসিডেন্টকে তালেবান ২০১১ সালে হত্যা করে সেই বুরহানউদ্দিন রাব্বানির ছেলে সালাহউদ্দিন রাব্বানি। আরও রয়েছেন আফগান পার্লামেন্টের স্পিকার মীর রহমান রেহমানি।

এই আফগান নেতারা অবশ্য বলেছেন তার নিজেদের উদ্যোগে আসেননি, বরঞ্চ পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণেই তারা এসেছেন। পাশাপাশি, কাবুলে সাবেক প্রেসিডেন্ট কারজাই এবং দোহার মীমাংসায় আলোচনা আফগান সরকারের প্রতিনিধি আব্দাল্লাহ আব্দাল্লাহর সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে যে কথাবার্তা চলছে তাতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মনসুর আহমদ খানের পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট থাকার স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। বৃহস্পতিবার মি. খান ও মি কারজাইয়ের সাথে একটি বৈঠকও হয়েছে। লন্ডনে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির বিশ্লেষক ড. আয়েশা সিদ্দিকা বলছেন আফগানিস্তানে পাকিস্তান যে তাদের পছন্দমত একটি সরকার চাইছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

“পাকিস্তানের লক্ষ্য খুব স্পষ্ট। তারা কাবুলে এমন একটি সরকার চাইছে যেখানে তালেবানের প্রাধান্য থাকবে। কারণ পাকিস্তান মনে করে তালেবান সবসময় পাকিস্তানের পক্ষে থাকবে এবং আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব তাতে খর্ব হবে,” বলেন ড. সিদ্দিকা।

পাকিস্তান সবসময় মনে করে কাবুলে পাকিস্তান-বান্ধব একটি সরকার তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ ২০০১ সালে আমেরিকার হাতে তালেবানের পতনের পর আফগানিস্তানে পাকিস্তানের প্রভাব দ্রুত কমেছে এবং সেই সাথে বেড়েছে তাদের চির শত্রু ভারতের প্রভাব।